নিষেধাজ্ঞাতেও নীলাচল ঘুরলেন চসিক মেয়র

করোনা তো কি হয়েছে ! ঘুরতে তো কোন দোষ নেই ভাবখানা এমনই । আর করোনা কোন মহামারীও নয়। তাইতো করোনা পরিস্থিতিতে দেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ঘুরতে গেলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। শুধু কি তাই, ঘুরে ফিরে নীলাচল ভ্রমণের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন তার সফরসঙ্গীরা।

যদিও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সব ধরনের বিনোদন কেন্দ্র। এরই অংশ হিসেবে গত ৩১ মার্চ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বান্দরবানের সব পর্যটন এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজি। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই বান্দরবানের নীলাচল ঘুরে এসেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এই সফরে যান।

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মেয়র কীভাবে বান্দরবানের পর্যটন এলাকা নীলাচলে গেলেন জানতে জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজিকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। কিন্তু এ প্রশ্নের উত্তরে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌছিফ আহমেদ বলেন, বান্দরবানে তো পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ। উনারা যে এখানে এসেছেন আমরা সেটা জানি না।

জানা গেছে, মেয়রের বান্দরবান সফর শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে দেখা যায়, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, হাসান মনসুর বান্দরবান নীলাচলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‌‘মেঘের রাজ্যে-প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নীলাচল, বান্দরবান। চট্টগ্রামের নগর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আজ সারাবেলা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ।’

একই সময়ে মেয়র রেজাউল করিমের ফেসবুক পেইজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লেখা হয়, ‌‘বান্দরবানের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ল্যা শৈ হ্লা মহোদয়ের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মাননীয় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বান্দরবান ভেনাস রিসোর্টে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে ফোন করা হলে রিসিভ করেননি। তবে মেয়রের সফরসঙ্গী প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেয়রসহ বান্দরবানে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে নীলাচল গিয়েছি। সেখানে এখনো রেস্ট্রিকশন আছে। নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে গেলেন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনিও ফোন কেটে দেন।

Sharing is caring!