বুয়েটের আবরার হত্যা: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ক্লাসে !

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আজীবন বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটু ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। এই ঘটনা জানার পর থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তবে বৃহস্পতিবার সেই আন্দোলনের ভাটা ফেলানোর জন্য কর্তৃপক্ষ আশ্বাসের বাণী শোনাতে শুরু করেছেন। তারা তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এটা এক প্রকার চালাকী। আন্দোলন বন্ধ করতেই এই কৌশল।

বুয়েট কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম হতে আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রের রিট পিটিশনের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আপিল দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

গত ২২ মে বিটু কেমিকৌশল লেভেল-৩ টার্ম-১ এর একটি কোর্সের অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা আশিকুল ইসলাম বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত কেউ যাতে আর একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়।

২৯ মের মধ্যে তাদের এ দাবি কার্যকর না হলে ৩০ মে থেকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুয়েট প্রশাসন বিটুর চলমান টার্মের কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিল করায় এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপিলের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বুয়েট প্রশাসনের আশ্বাসে আগামী সপ্তাহের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যেই বুয়েট প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।

অন্যথায় আগামী সপ্তাহের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আবারো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আবরার ফাহাদ হত্যার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কোনো আপস করবে না বলেও জানান।

Sharing is caring!