
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি। নিহত মোহম্মদ হোসেন মাসুদ (৪৭) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সন্তান। নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে বরোপার্ক এলাকায় স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি।
পেশায় ট্যাক্সি চালক মাসুদ রাইড শেয়ার কোম্পানি লিফটে কাজ করতেন। রোববার ভোররাতে কুইন্সের ম্যাসপেথ এলাকায় ফ্রেশপন্ড রোডে এলিয়ট এভিনিউ ইন্টারসেকশনে দ্রুতগামী আরেকটি গাড়ির সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাংলাদেশিরা জানা, শেষ যাত্রী নিয়ে বাসার উদ্দেশে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন মাসুদ। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। তবে মাসুদের গাড়ির যাত্রী আহত হলেও তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
উল্লেখ্য, ১২ বছর আগে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন মাসুদ। তার বোন রিফাত রহমান বলেন, “দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই সে স্ত্রীকে টেক্সট মেসেজে জানিয়েছিল যে সে বাসায় ফিরছে।”
অন্য গাড়ির ধাক্কায় চুরমার মোহম্মদ হোসেন মাসুদের গাড়ি। মাসুদের মৃত্যুতে ব্যথিত এবং শোকার্ত বন্ধু-স্বজনেরা তার স্ত্রী-সন্তানদের পাশে কাছে গিয়ে সহানুভূতি জানান।
মাসুদের বন্ধু রাইফুল সাগর (৪৯) বলেন, সামনের সপ্তাহেই সকলের সপরিবারে বনভোজনের প্রস্তুতির মধ্যে এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে সবাই ব্যথিত।
এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী অন্য গাড়িটির চালক এরিক সিমবরাজোকে (২২) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। মাতাল ওই চালকের কোন ড্রাইভার লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া ফোর্ড এক্সপ্লোরার গাড়িটির ইন্স্যুরেন্স ইনসপেকশনও ছিল না।
এরিক ব্রুকলিনের বুশউইকের স্থায়ী বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতারের পর এলমহার্স্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় যাবতীয় পরীক্ষার জন্য।
নিউইয়র্ক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুন পর্যন্ত এ বছর এ ধরনের নেশাগ্রস্ত-বল্গাহীন গাড়িচালনায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৮০ জন বেশি।