অতিরিক্ত আইজিপির বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহকর্মীর মরদেহ নিয়ে ধুম্রজাল

পুলিশের অতিরিক্ত আইজির বাসা থেকে কিশোরী গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, ওই সময় আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক ঢাকার বাইরে তার কর্মস্থলে ছিলেন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও বাসায় ছিলেন না।

মৃত্যু নিয়ে আইজিপির পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও কিশোরীর মায়ের দাবি তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত গৃহকর্মীর মা ফরিদা বলছেন, গত তিন বছর ধরে তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি মেয়ের সঙ্গে। সেখানে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। বাড়ি আসতে চাইলেও আসতে দেয় নাই।

মৌসুমীর মা আরও জানান, মৌসুমী আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. শামিমা আফরোজ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। এছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার রিফাত নুরের উপস্থিতিতে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমেনা খানম গৃহকর্মীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বাহ্যিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এদিকে মৌসুমীর মরদেহ নিতে তার কোনো স্বজন মর্গে আসেননি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মৌসুমীর গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে।

এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও রিসিভ করেননি অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক। তবে আইজিপির মতামত না পাওয়া গেলেও পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!