পুতিনের সঙ্গে লাল দাগ টানবেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে তিনি ‘লাল দাগ’ টেনে দেবেন। ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোর প্রতি মস্কো ও বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানোর পর এ কথা বললেন বাইডেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ন্যাটো সম্মেলনে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ চাইনা, কিন্তু রাশিয়া যদি তাদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে তাহলে আমরা এর জবাব দেব।’

বাইডেন পুতিনকে ‘কঠিন’ এবং ‘একজন উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে উল্লেখ করেন। আগামী বুধবার জেনেভায় দুই নেতার বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ক্রেমলিন নেতাকে এই সতর্কবার্তা এমন এক সময়ে দেয়া হলো যখন বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলের বহু বছরের উত্তেজনার পর আটলান্টিকের ওপারে মিত্রদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরায় চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।

সম্মেলনের বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য খুব দ্রুতই চালু করা হবে না। উল্লেখ্য, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর কিছু অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলে ব্যাপক হুমকি তৈরি করছে এবং ন্যাটো সীমান্ত ও এর বাইরেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

বাইডেনের দাবির প্রেক্ষিতে ন্যাটো নেতারা চীনের ‘আক্রমণাত্মক নীতি’র ‘পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ’র বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি মহাকাশ ও সাইবার যুদ্ধে চীনের ক্রমবর্থমান সক্ষমতা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।

ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, মিত্র দেশগুলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। কিন্তু চীন বিষয়ে ওয়াশিংটনের শঙ্কার প্রতি সায় দিয়ে তিনি বলেন, ‘চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও আন্তর্জাতিক নীতি ন্যাটো জোটের নিরাপত্তার প্রতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’

Sharing is caring!