বসুন্ধরার এমডিকে রক্ষায় নানা ফন্দি

নকীব মাহমুদ, ঢাকা:

এবার সত্যি ফেঁসে যাচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর । তবে তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও বলা হচ্ছে, তিনি হয়ত দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার দেশ ত্যাগ নিয়ে নানা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে তাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশেল হাতে গোনা দুই একটি ছাড়া সব মিডিয়া কর্তৃপক্ষ সংবাদ গুম করছে।এ সংক্রান্ত কোন খবরই তারা প্রকাশ করছে না। কয়েকটি প্রকাশ করলেও আবার তার ছবি ও নাম প্রকাশ থেকে বিরত আছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশের সময় টিভির অনলাইন ভার্সনে সারাদিন মুনিয়াকে নিয়ে নানা গালগল্প লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সংবাদে তারা মুনিয়াকে বহুগামী ও বহু ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন অনেকে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সময় টিভি কর্তৃপক্ষ কেন এমনটি করছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে বাংলাদেশের একটি ইংরেজী দৈনিক দাবি করেছেন, আনভীর ওই দিনই দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এমন নামে কেউই যায়নি। তিনি দেশেই আছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের সিস্টেমে চেক করে দেখা গেছে, সে (সায়েম সোবহান আনভীর) দেশেই আছে।

এরই মধ্যে তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন তার জন্য আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিয়ে আরও সন্দেহ বাড়ছে জনমনে।
এদিকে বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল বিকেলে একটি চাটার্ড ফ্লাইটে সায়েম সোবহান আনভীরের পরিবারের সদস্যদের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে ভিপিসি-১১ নম্বর ফ্লাইটে সায়েম সোবহানের ভাই সাফওয়ান সোবহান, রানিয়া আফরোজ সোবহান, শেহজাদ সোবহান, পিয়াসা সোবহান দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এছাড়া ওই ফ্লাইটে হোসনে আরা খাতুন ও মন্টু মিয়া নামে আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। বিমানবন্দরের ওই সূত্র জানায়, এই ফ্লাইটেই সায়েম সোবহান আনভীরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও দুবাই যাবার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অন্যরা কেউ যাননি।

এদিকে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর ইমিগ্রেশনে চিঠি লিখেছি। মৌখিকভাবে তার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। সায়েম সোবহান তার বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে যাননি বলেই আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ‍পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম তা মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার একটি আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করেছেন।

Sharing is caring!