বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে সাত উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

অল্পের জন্য রক্ষা পেল যুবরাজের বিশ্ব রেকর্ড। মাত্র ১৩ বলে বিপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন কুমিল্লার সুনিল নারিন। এতে চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৯ রানের টার্গেট ৪৩ বল বাকি থাকতে টপকে গেছে কুমিল্লা। শুক্রবার ফাইনালে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ সাকিবের বরিশাল।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে নারিনকে ওপেনিংয়ে নামানোর বাজি কাজে লাগলো কুমিল্লার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৪৯ রানের টোটালটাও একেবারেই সহজ করলেন উইন্ডিজ তারকা। প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন বাঁহাতি নারিন। মাত্র ৩ ওভার এক বলে স্কোরবোর্ডে ফিফটি তোলে কুমিল্লা।

নারিনের ভয়ংকর ব্যাটে চট্টগ্রামকে কোনো সুযোগ দেয়নি কুমিল্লা। মাত্র ১৩ বলে নারিন হাফসেঞ্চুরি করলেন ৪ টি চার ও ৬টি ছক্কায়। বিপিএলে ইতিহাসে এটাই কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি। এতে অল্পের জন্য রক্ষা যুবরাজের বিশ্বকাপের ১২ বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।

পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা তোলে ৮৪ রান। ১৬ বলে ৫৭ রান নারিনের। ম্যাচ থেকে তখন পুরোপুরি পুরোপুরি ছিটকে গেছে চট্টগ্রাম।

ডু প্লেসি ও মঈন আলী দুজনের অপরাজিত ৩০ রানে ম্যাচ শেষ করেন ১২ ওভার ৫ বলে। এতে বিপিএলে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৩১ রানে ওপেনিং জুটি গড়লেও মঈন আলীর স্পিনে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন আপ। জাকির, আফিফ ও শামীমকে বিদায় করেন মঈন আলী। এতে ৫০ রানে ৫ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

দলের এমন বিপর্যয়ে প্রতিরোধ গড়েন আকবর আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজন মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬১ রানের জুটি। আকবর ৩৩ রানে বিদায় নিলে শেষ দিকে আবারও ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৪ রানে মিরাজ বিদায় নিলে ১৪৮ রানে অলআউট চট্টগ্রাম।

Sharing is caring!