ঘুষ নিয়ে দর কষাকষি কাস্টমস কর্মকতার

ঘুষের টাকা নিয়ে দর কষাকষিতে মেতেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পরীক্ষণ গ্রুপ-০২ এর রাজস্ব কর্মকর্তা আঃ সালাম। তিনি সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের ফাইলে বিভিন্ন সমস্যা আছে, মাল বেশি এধরনের কথা বলে, বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘুষের টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, এই রাজস্ব কর্মকর্তা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের কাছ থেকে ফাইল প্রতি বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে নগদ ৩০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মী যদি বলেন স্যার গেটপাশ করার সময় টাকা দেবো। তাহলে তিনি তাদের ফাইলে সই করেন না। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তার ড্রয়ারে টাকা দেওয়া পর তিনি ফাইলে সই করছেন। সেই সাথে তিনি সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের সাথে ঘুষের টাকা নিয়েও দর কষাকষি করেন।

এবিষয়ে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সালাম স্যার ফাইল পরীক্ষণের সাথে সাথেই তাকে ঘুষের টাকা পরিশোধ করতে হয়। টাকা না দিলে তিনি ফাইলে সই করেন না। বরং নানাভাবে আমাদেরকে হয়রানি করেন। আমাদের অফিসের বসেরা গেটপাশ করার সময় টাকা দেন। সে কথা সালাম স্যারকে বললে, তিনি বলেন, আমি নগদ ছাড়া ফাইলে সই করিনা। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের পকেট থেকে স্যারকে টাকা দিয়ে আসতে হয়।

এবিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা আঃ সালাম বলেন, ওসব লেখালেখির ফাও ভয় দেখিয়ে আমাকে লাভ নেই। আপনাদের কিছু করার থাকলে করেনগে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। আর আমার কাছে এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেনি। কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমানকে ফোন করলেও তিনি বরাবরারের মত এবারও ফোন রিসিভ করেননি।

Sharing is caring!