বিমানের টরেন্টো ফ্লাইটে শুধুই সরকারি অতিথি

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট ২৭শে মার্চ সকালে কানাডার পিয়ারসন এয়ারপোর্টে অবতরণ করবে। ফ্লাইটে থাকবেন ৪৭ সদস্যের বিশাল সরকারি বহর। এরপর অতিথিরা উঠবেন টরেন্টোর ডাউন টাউনের হলিডে ইন হোটেলে। তাই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কোনো বাণিজ্যিক যাত্রী থাকবেন না।

বিমানের বিশাল বহরটি ২৯শে মার্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। পরীক্ষামূলক ফ্লাইট আসলেও বাণিজ্যিকভাবে বিমানের ফ্লাইট কবে নাগাদ চালু হবে এ বিষয়টি এখনও অজানা। যদিও কানাডার টরেন্টোর ৩৫২০ ডেনফোর্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি অফিস নেয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অফিসটি উদ্বোধন করবেন।

পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে সরকারি বহরের তালিকায় আছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও তার স্ত্রী শামীমা জাফরীন, কন্যা তাহরিমা রাহবার, বিমান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন, বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান ও তার স্ত্রী লায়লা আর্জুমান্দ এবং তার পুত্র আহমদ শাবাব হাসান, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হোসেন, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টের স্ত্রী শারমীন ইসলাম হাসান, বিমান প্রতিমন্ত্রীর এপিএস মোহাম্মদ মোসাব্বির হোসেন, উপসচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এবং পিআরও তানভীর আহমেদসহ বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের ৪৭ জন।

বিমানের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে সরকারি বহরের বাইরে কোনো যাত্রী ঢাকা থেকে টরেন্টো যাচ্ছে না। এরইমধ্যে বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৬শে মার্চের ঢাকা–টরেন্টো ফ্লাইটটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়। এটি পরীক্ষামূলক বিশেষ ফ্লাইট। এ কারণে এ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬শে মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইট বিজি৩০৫ কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ২৭শে মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে টরেন্টোতে অবতরণ করবে।
এরপর টরেন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট বিজি৩০৬ আগামী ২৯শে মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ৩০শে মার্চ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে টরেন্টো ফ্লাইট পরিচালিত হবে। পরীক্ষামূলক ফ্লাইট আসলেও বাণিজ্যিকভাবে ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট কবে নাগাদ শুরু হবে তা বিমান মন্ত্রণালয় বা বিমানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে টিকিট বিক্রি নিয়ে চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছে বিমান। গত ১৯শে মার্চ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে বিমানের ঢাকা-টরেন্টো রুটের টিকিট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। যাত্রীরা বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com থেকে এ রুটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন বলে বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানের যে কোনো সেলস সেন্টার, বিমান কল সেন্টার +৮৮০১৯৯৯৯৭৯৯৭ এবং বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট ক্রয় করা যাবে। কানাডা থেকে যে সমস্ত যাত্রী বাংলাদেশে আসতে চান তারা বিমানের ওয়েবসাইট থেকে অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোনো সেলস সেন্টার বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

যাত্রীদের কানাডার ভ্রমণ নির্দেশনা অনুসরণ করে ফ্লাইট ছাড়ার আগে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৫ মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা টিকিট কাটার চেষ্টা করলে ‘সোল্ড আউট’ (বিক্রি শেষ) দেখায়। যাত্রীরা কল সেন্টারে যোগযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয়- সাধারণ যাত্রীরা এখনই টিকিট পাবেন না।

Sharing is caring!