তিন যুগ পর বিশ্বকাপে কানাডা

জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেল কানাডা।

তুষার-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৩০ হাজার দর্শকে ঠাসা টরন্টোর বিএমও স্টেডিয়াম। পুরো গ্যালারিতে উড়ছে ম্যাপল লিফ। ক্ষণে ক্ষণে গর্জন, কোরাসে গান। ম্যাচের আগে থেকেই যেন উৎসবের আবহ।

সেই উপলক্ষ্য পূর্ণতা পেল মাঠের ফুটবলেও। জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল কানাডা।

সেই ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের পর আবারো ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাদের। ১৯৮৬ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে হেরে এবং কোনো গোল না করে বিদায় নেওয়ার পর আর বিশ্ব আসরে পা রাখা হয়নি কানাডার।

৩৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল রোববার রাতে। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলকে পেছনে ফেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার আগে কাতারের টিকিট কাটল কানাডা। ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট তাদের। সমান ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের পথে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোও।

এ অঞ্চল থেকে তিনটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। চতুর্থ দলকে খেলতে হবে প্লে-অফ। শেষ রাউন্ডের আগে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চারে কোস্টারিকা। গত পরশু রাতে জিতেছে শীর্ষ চার দলই। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের হ্যাটট্রিকে পানামাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় যক্তরাষ্ট্র, হন্ডুরাসকে ১-০ গোলে হারায় মেক্সিকো।

আগের ম্যাচে কোস্টারিকার মাঠে না হারলে কানাডার অপেক্ষার অবসান হতো তখনই। কানাডার কোচ জন হার্ডম্যান অবশ্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ায় বেশি খুশি। তিনি বলেন, আমার এত ভালো লাগছে যে কোস্টারিকায় সেদিন জিতিনি! আমি জানি, কেন ফুটবল ঈশ্বর সেদিন আমাদের গোল করতে দেননি। ঘরের মাঠে উৎসবের আবহে এটা এভাবেই হওয়ার কথা ছিল। এই রাতের জন্যই ছিল অপেক্ষা। আমরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি, এখন আমরা স্বীকৃত ফুটবল শক্তি।

Sharing is caring!