
বাংলাদেশে চোর মার্কা ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। তারা ডিলারের নামে ভোটারবিহীন সরকারের কাছে নানা সুযোগ সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটাও লুটপাট করে খাচ্ছে। বিষয়টি অনেক দিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রমাণ না পাওয়ায় ভোটারবিহীন সরকারের অনুগত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারছিল না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এই চক্রের ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর মাটিকাটা এলাকা থেকে ন্যায্যমূল্যের ৭৭০ বস্তা চাল ও ১৬০ বস্তা আটাসহ কালোবাজারি চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করে র্যাব-৪ এর একটি দল।
আটক হওয়া কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা হলেন : আব্দুল কাদের শিকদার (৭০), অমি ইসলাম (৩৩), আব্দুল বারেক (৩৫), মো. কামাল হোসেন (৫৩), মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৫), মো. শাহীন (১৮), মো. জুয়েল (৩১), মো. জাবেদ (১৯) ও মো. সালমান (২৫)।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে দেশব্যাপী দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায্যমূল্যের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বৈশ্বিক এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছে সরকার। এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণকে ঘিরে যেন কোনো দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এই নির্দেশনা সত্ত্বেও ন্যায্যমূল্যের খাদ্য সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎকারী ও কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাচ্ছে র্যাব।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ন্যায্যমূল্যের খাদ্য সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ৩১ হাজার ৩০০ কেজি (৭৭০ বস্তা) চাল, ৮ হাজার কেজি (১৬০ বস্তা) আটা, ৩টি ট্রাক, ২টি ওজন পরিমাপক যন্ত্র ও ১টি বস্তা সেলাইয়ের মেশিন জব্দ করে। এ ঘটনায় নয়জনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটা কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিল। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটা বস্তায় সংগ্রহ করে বিক্রি করত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।