দুই সপ্তাহ লকডাউনের সুপারিশ

দেশে করোনা পরিস্থিতি নাজুকের দিকে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আগামী দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। গত বুধবার কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩০ তম সভায় এ সুপারিশ করেছে। তারা বলছে,পূর্ণ লকডাউন’ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মনে করছে।

বিষয়টি আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। কমিটির সুপারিশের পর শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট হয়েছে। হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ বাড়ছে, তাই হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো দরকার বলেও তারা মত দিয়েছে। এ ছাড়া ডিএনসিসি হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলেও জানানো হয়।

কমিটি আগামী দুই সপ্তাহ দশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। তারা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধিতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে ১৮টি নির্দেশনা জারির কথাও বলেছিল। কিন্তু সেগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। তাই ‘বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার’।

কমিটি বলছে, বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্যদের পরীক্ষার জন্য বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করতে টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে বেসরকারিভাবে আমদানির ওপর জোর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়

Sharing is caring!