
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী ইহুদিদের প্রতি যে আচরণ করেছে তার সঙ্গে মাস্ক পরার নিয়মকে তুলনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতা মার্জোরি টেইলর গ্রিন। এজন্য অবশেষে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
ওয়াশিংটন ডিসির হলোকাস্ট স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে উক্ত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান তিনি। তিনি বলেন, এটি স্বীকার করা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি একটি ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করেছেন।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই সহযোগী বিতর্ক তৈরি করে আসছেন।
সোমবার ইউএস ক্যাপিটলের বাইরে দাঁড়িয়ে গ্রিন বলেন, ‘আমার বাবা যে কয়টি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা আমাকে দিয়েছেন তার একটি হলো, যখন আপনি একটি ভুল করবেন সেটির দায়ভার আপনার নেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি ভুল করেছি এবং এটি কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাকে অস্বস্তিতে রেখেছে, আর তাই আমি অবশ্যই এর দায়ভার নিতে চাই।’
গ্রিন আরও বলেন, ‘কোন কিছুই হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনীয় নয়। আর যে শব্দগুলো আমি ব্যবহার করেছি এবং যে মন্তব্য করেছি, আমি জানি তা আপত্তিকর ছিল এবং এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’
কী বলেছিলেন গ্রিন?
একটি সাক্ষাৎকারে টেইলর গ্রিন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের নেয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন। ওই পদক্ষেপে প্রতিনিধি পরিষদের ভেতরে মাস্ক পরতে বলা হয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে গ্রিন বলেন, ‘আমরা যদি অতীত এবং ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব লোকজনদের ‘গোল্ড স্টার’ পরতে বলা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এবং তাদেরকে নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। নাৎসি জার্মানিতে তাদেরকে ট্রেন ঢোকানো হত এবং গ্যাস চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হত।’
‘এটি একদম সে রকম নিপীড়ন যা নিয়ে ন্যান্সি পেলোসি (ডেমোক্র্যাটিক হাউস স্পিকার) বলছেন,’ বলেন গ্রিন।
গ্রিনের ওই মন্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি রিপাবলিকান নেতাদের কাছ থেকেও সমালোচনা আসতে থাকে।
গ্রিন এ সংক্রান্ত একটি টুইটও করেছিলেন। একটি সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন নেয়া কর্মীদের মাস্ক ছাড়া কাজ করতে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। সে খবর শেয়ার করে টুইটার পোস্টে গ্রিন লেখেন, ‘ভ্যাকসিন নেয়া কর্মীরা ভ্যাকসিন লোগো পাবেন, ঠিক যেমন নাৎসিরা ইহুদি লোকজনদের ‘গোল্ড স্টার’ পরতে বাধ্য করত।’