ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩ হাজার ২৯৩

ভারতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জনে পৌঁছেছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন।

আজ (বুধবার) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ৮ টা থেকে আজ (বুধবার) সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জন নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। একইসময়ে ৩ হাজার ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি সূত্রে প্রকাশ, দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৭১ জন। অন্যদিকে, হাসপাতাল অথবা হোম আইসোলেশনে থাকা সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৯। চলতি বছরের ১ এপ্রিল করোনায় নয়া সংক্রমণ ছিল ৭২ হাজার ৩৩০, মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫৯। কিন্তু আজ ২৮ এপ্রিল সকাল ৮ টা পর্যন্ত এক তথ্য বিবরণীতে প্রকাশ, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জন আক্রান্ত এবং ৩ হাজার ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশে এ পর্যন্ত ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৭ জনের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

দেশে ১ লাখ করোনা সংক্রমণ হতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। কিন্তু মাত্র ৪৫৪ দিনে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা এ থেকে অনেক বেশি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এমনকি মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন তাঁরা। সংবাদসংস্থা সিএনএন-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ওই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত মৃত্যুর প্রায় ৩০ গুণ। অর্থাৎ, সঠিক নথিভুক্তি হলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াত বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ডিজিজ ডাইনামিক্স ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি’র ডিরেক্টর রামনন লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, ‘আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় যে অনেক গরমিল আছে তা প্রায় সকলেই জানেন। গতবছর আমরা হিসাব করে দেখেছিলাম প্রত্যেক ৩০ জনের মধ্যে ১ জনের সংক্রমণ পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। মৃত্যুও অনেক কম নথিভুক্ত হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, ‘আমরা সেরো সার্ভে করার সময় দেখেছি অনেক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে। অর্থাৎ কোনও না কোনও সময়ে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ যা নথিভুক্ত হয়েছে তার থেকে অন্তত ২০/৩০ গুণ প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা।’

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাটিসটিক্স ও এপিডেমায়োলজির অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘এ সময় বিভিন্ন শহরে যেভাবে গণহারে কোভিড আক্রান্তদের শেষকৃত্য হচ্ছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে প্রকৃত মৃত্যুর বেশির ভাগই নথিভুক্ত হয়নি।’ নথিভুক্ত হওয়া মৃত্যুর থেকে প্রায় ৫ গুণ প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা’ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Sharing is caring!