ঈদযাত্রায় শেষ সময়ে ভোগান্তি

ঈদযাত্রায় শেষ সময়ে ভোগান্তি পোহাতে হলো। রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ঢল নামে। ট্রেনে ওঠা নিয়ে হাতাহাতিতে কয়েকজন আহত হন। এদিকে পোশাক কারখানা ছুটি দেয়ায় গাজীপুরের চন্দ্রা হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। আর শেষ মুহূর্তে লঞ্চেও উপচে পড়া ভিড় ছিল।

ঈদের আর মাত্র ২ দিন বাকি। ৩০ রোজা পূর্ণ হলে মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদ হবে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী ছেড়েছে। ঈদ যাত্রায় প্রতিবছরের দুর্বিষহ ভোগান্তির আশঙ্কায় এবার অনেকে আগেই পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়েছেন।

গত দু’দিন অনেকটাই স্বস্তির ঈদ যাত্রা হলেও শনিবার (৩০ এপ্রিল) সব তৈরি পোশাক কারখানা ছুটি দেয়ায় দুপুর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আর সকাল থেকেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট ছিল মোটরসাইকেল আরোহীদের দখলে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সারাদিন এই পথে একলাখের বেশি বাইক পারাপার হয়েছে। লঞ্চেও উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট স্বাভাবিক ছিল।

গাবতলী ও মহাখালীতেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যারা আগাম টিকিট কাটেননি, তাদের টিকিট পেতে অপেক্ষার পাশাপাশি অনেকের বাড়তি ভাড়ারও অভিযোগ ছিল। তবে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে মোটামুটি সময় মেনেই বেশিরভাগ ট্রেন চলছে।

আর সদরঘাট আজও বর্ণীল ছিল। পল্টুনে সারি সারি লঞ্চ নিয়ম না মেনে ছাদেও যাত্রী তুলেছে। তারপরও অতীতের ঈদ যাত্রার ভোগান্তির তুলনায় এবারও সবার চোখে মুখে কিছুটা স্বস্তি।

Sharing is caring!