নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের ‘তথ্য নেই’ ইসির কাছে

সাত ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গোটা দেশে শাতাধিন প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে স্পষ্ট দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনের গাফেলতি। যদিও এই হুদা কমিশন বারবার শুধু নিজেদের সফলতার কথাই বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। শুধু মানুষকে বোকা বানানোই না, সাত ধাপের নির্বাচনের সহিংসতায় কি পরিমাণ মানুষ মারা গেছে তারও কোন হিসাব বা তথ্য তারা রাখেনি!

ভোট গ্রহণ শেষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জিজ্ঞেস করা হয়, ইউপির সাত দফা ভোটে নির্বাচনী সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন ? যার জবাবে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ‘সেই তথ্য এই মুহূর্তে নেই’ বলে জানান ।

ঈছাড়াও এই অতিরিক্ত সচিব মনে করেন, নির্বাচনে প্রাণহানির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থতা নেই ।

তবে আজকের শেষ ধাপের ভোটে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন মারা গেছেন জানিয়ে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে ভোটকেন্দ্রে গোলমালের জন্য ভোটকেন্দ্রের বাইরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পুরো প্রতিবেদনটি এখনো আমরা পাইনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাত দফার ভোটে প্রাণহানির ঘটনায় কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা ছিল কি না, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কমিশনের ব্যর্থতা নাই এখানে। প্রাণহানিগুলোর দায়দায়িত্ব কমিশনের ওপর সরাসরি পড়ে না। স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। তারা এই বিষয় দেখবে। তারপরও যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত।’

শেষ ধাপের ভোট কেমন হলো, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ওভারঅল ভালো নির্বাচন হয়েছে।’

সব মিলিয়ে ইউপি নির্বাচন কেমন হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ভালো নির্বাচন হয়েছে। মোটামুটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, স্থানীয় পর্যায়ের জনগণ যে ভোটমুখী হয়েছে, এটা আশাব্যঞ্জক দিক। ভোটের হার বেশি আছে।’

অতিরিক্ত সচিব জানান, সপ্তম ধাপে আজ ১৩৬ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে সাতটি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট হয়েছে। সহিংসতার কারণে ছয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তখন পর্যন্ত ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ব্যালটে পড়েছে ৬৫ শতাংশের বেশি।

Sharing is caring!