অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের স্বাক্ষরের পর বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত রায়ে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করতে পারবেন।
রায় প্রকাশ নিয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখায় সংবিধান অনুযায়ী হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ আর নেই। রায়ের কপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করে আপিল করতে হবে।
রায় প্রকাশের পর হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে হাজী মোহাম্মদ সেলিম সাহেবকে এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। উনার সঙ্গে কথা বলেছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করে সুপিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করব’।
এদিকে বুধবার মামলার রায় প্রকাশিত হলেও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৬ পৃষ্ঠার রায়টি দেখা যায়। হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে প্রকাশিত রায়ে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের সাংবিধানিক পদধারী হলেও তাকে বিচারের আওতায় এনে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে।