একাধিকবার নিষেধ করার পরেও অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে সেলফি তুলতে নাছোড়বান্দা এক ভোটকর্মী। অভিনেত্রীও বারণ করা সত্ত্বেও একবার নয়, দু’বার সেলফি তোলার চেষ্টা করেন তিনি। আর এতেই হয় বিপত্তি। বিষয়টি জানা মাত্রই ওই ভোটকর্মীকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই জায়গায় অন্য ভোটকর্মীকে নিযুক্ত করা হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার ১৫৫ নম্বর বুথে।
এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়ার ‘ঘরের মেয়ে’ অভিনেত্রী মিমি ১৫৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসেন। তখনই তাঁকে ঢুকতে দেখে অল্প বয়স্ক এক ভোটকর্মী ভোটপর্ব চলাকালীনই বুথের মধ্যে মোবাইল ফোন বের করে সেলফি তুলতে যান। বিষয়টি দেখামাত্র তাঁকে নিষেধ করেন অভিনেত্রী। মিমি বলেন, আপনিও বিপদে পড়বেন, আমাকেও বিপাকে ফেলবেন। কিন্তু, কে শোনে কার কথা। মিমি ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফের ভোটের কাজ ছেড়ে তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে উদ্যত হন ওই ভোটকর্মী। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন তৃণমূলের ওই তারকা সাংসদ। এরপর তিনি কোনওরকমে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নির্বাচন কমিশনের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ভোটকর্মীকে সরিয়ে দেয় কমিশন। তার জায়গায় অন্য ভোটকর্মীকে ওই বুথে পাঠানো হয়।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, আমরা ওই অফিসারকে তখনই সরিয়ে দিয়েছি। ভোটপর্ব মিটলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে। নির্বাচন কমিশনের যে গাইডলাইন আছে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।