
নাগরিক প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজধানীতে আইসিআই সংকট চলছে। বিশেষ করে করোনার সময় এই সংকট প্রকট হয়েছে।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে সাধারণ কোভিড শয্যা খালি রয়েছে। তবে কোভিড আইসিইউ শয্যা নিয়ে চলছে
হাহাকার। রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ১০টিতেই কোনো কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি নেই বলে
জানা গেছে। রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে মোট ৩৯৫টি কোভিড আইসিইউ শয্যা আছে। যার মধ্যে মাত্র ছয়টি হাসপাতালে ৭৮টি
কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে একটি, মহাখালীতে অবস্থিত ২৫০০ শয্যা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে দুইটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে দুইটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও
হাসপাতালে তিনটি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঁচটি, ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে ১২টি এবং
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৫৩টি কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি আছে।
রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৬১টির মধ্যে ১৮৫টি কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি আছে।
তা ছাড়া চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৩টির মধ্যে ১২টি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩০টির
মধ্যে ১০টি কোভিড আইসিইউ শয্যা এখনও খালি।সারা দেশে মোট এক হাজার ২৬৩টির মধ্যে ২৭৫টি কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি আছে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগেমোট ৯২৪টির মধ্যে ১৯৬টি কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি। ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬টি, রাজশাহী বিভাগে সাতটি, রংপুর বিভাগে ১২টি, খুলনা বিভাগে ১৩টি, বরিশাল বিভাগে ছয়টি, সিলেট বিভাগে একটি কোভিড আইসিইউ শয্যা খালি আছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সোমবার (১২ জুলাই) পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব
তথ্য জানা গেছে।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন
করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সবমিলিয়ে মোট মৃতের
সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭
জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭টি। নমুনা
পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১.২৪ শতাংশ। দেশে এখন অবধি মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ১৫
হাজার ২৩৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪.৭৫ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ২০ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮১ জন ৫২১ জন।