
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সিনিয়র নেতা ও দলটির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি ভয়াবহ! নিঃসন্দেহে আতঙ্কের বাতাবরণ আগে থেকে তৈরি হয়েছে। এটা প্রতিহত করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের। যেভাবে বলা হল ৬৪ শতাংশ ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, মোদি মেড করোনা, তাতে পশ্চিমবঙ্গের কতটা সুরাহা হল আমার জানা নেই।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সর্বত্র আছড়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সিনিয়র নেতা ও দলটির এই মুখপাত্র। ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সর্বত্র আছড়ে পড়েছে। আমাদের রাজ্য সরকার থেকে জানত। কিন্তু তারা এখানে কোভিড বেডের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কোথায়? সেফ হোমের জন্য রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা করেছে? এই মুহূর্তে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাতের প্রয়োজন নেই। এটা রাজনীতি করা বা ব্যক্তিগতভাবে দোষারোপ করার সময় নয়। রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে রেখে সঙ্ঘবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন। কিন্তু এক নাগাড়ে গণমাধ্যমের একাংশ এবং রাজ্যের শাসক দল পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ বিষয়টাকে কেন্দ্রীয় সরকারের কোর্টে ফেলতে চায়। কারণে, অকারণে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। তারা বলে চলেছেন বাইরে থেকে লোক এনে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব কথা বার বার বলে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে আছেন, বাইরের রাজ্যে যারা পড়াশোনা করছে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ভাষাভিত্তিক রাজনীতি কোনও দিন ছিল না। কিন্তু এই প্রথম নির্বাচনে বাংলাভাষী ও হিন্দিভাষীর মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ‘বহিরাগত’র নাম করে কোনোদিন উগ্র প্রাদেশিকতার রাজনীতি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে আজ সেই রাজনীতি করা হল। এ থেকে কারা সুফল পাবেন তা আগামী ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের দিন স্পষ্ট হবে’ বলেও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন।