ভারতের কারাগারে ১৮৫০ বাংলাদেশি, মিয়ানমারে ৬৩

ভারতের বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজার ৮৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিক আটক রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই পদ্ধতিগত কারণে অনিয়মিত অবস্থানের দায়ে অভিযুক্ত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোববার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সঙ্গে ভারতের সীমানা বিদ্যমান। সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাসহ নানা কারণে দুই দেশের দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, কোনো সূত্রে খবর পেলে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো তা যাচাইপূর্বক কারাগারে আটক বাংলাদেশির বিষয়ে নিশ্চিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় আইন সহায়তা দিয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে নারী ও শিশু পাচার রোধ, উদ্ধার ও পুনর্বাস সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার নারী ও শিশুদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম নেয়া হয়ে থাকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, মিয়ানমারে বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচিত মোট ৬৩ জন আটক রয়েছেন। তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন। তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে।

মিয়ানমারে আটক ৬৩ জনের মধ্যে ১০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৫০ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলমান। মিয়ানমারে বন্দি বা কারাভোগরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয়।

Sharing is caring!