
নাগরিক প্রতিবেদক
ভারতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ফায়ারব্রান্ড নেত্রী সাধ্বী প্রাচী বলেছেন, ‘যাদের দু’টির বেশি সন্তান, তাদের
জন্য সরকারি সুবিধা বন্ধ হোক। তাদের ভোট দেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া উচিত।’
১২ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশ, সাধ্বী প্রাচী রাজস্থানের রাজস্থানের দৌসা জেলায় ওই মন্তব্য করেছেন।
সাধ্বী প্রাচীর দাবি-গোটা ভারতের মানুষের ‘ডিএনএ’ একই রকম। কিন্তু যারা গরুর গোশত খান, তাদেরটা আলাদা।
দেশে সব সম্প্রদায়ের জন্য দুই সন্তান আইন চালু করার দাবি তুলে সাধ্বী প্রাচী বলেন, ‘এমন যেন না হয়,
একদিকে দেশে দুই সন্তান আইন চালু হচ্ছে। অন্যদিকে, পাঁচ স্ত্রী আর তাদের দু’টি করে বাচ্চার লাইন লেগে
যাচ্ছে।’
বিয়ের নামে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করতে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত
বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী। তিনি বলেন, রাজস্থানে মেয়েদের লাভ জিহাদের নামে
ফাঁসানো হচ্ছে ও ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের ভোটের রাজনীতি ছেড়ে হিন্দু কন্যাদের
রক্ষায় নজর দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দেশের সব মানুষের ‘ডিএনএ’ একই রকম বলে মন্তব্য করেছিলেন।
যে বা যারা গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ তৈরি করে কাউকে কাউকে আক্রমণ করছে, তারা হিন্দুত্বের বিরোধী
বলেও মন্তব্য করেন মোহন ভাগবত। উত্তর প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের শীর্ষ
নেতার এমন মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্ব হিন্দু
পরিষদের ফায়ারব্রান্ড নেত্রী সাধ্বী প্রাচী বললেন গোটা দেশের মানুষের ‘ডিএনএ’ একই রকম। কিন্তু যারা গরুর
গোশত খান, তাদেরটা আলাদা।