সংক্রমণ বৃদ্ধির রিপোর্ট চাইলো ভারতের আদালত

ভারতে দ্রুত গতিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে প্রকাশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ টি নয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। একইসময়ে ২ হাজার ৭১১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে একটানা ষষ্ঠ দিনে দৈনিক তিন লাখেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এরফলে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৭ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনে পৌঁছেছে।

সরকারি সূত্রে প্রকাশ, এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২০৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ লাখ ৮২ হাজার ২০৪। কোভিড সংক্রমণ কী পরিমাণে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তা চলতি এপ্রিলের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট বোঝা যায়। কেবলমাত্র এপ্রিল মাসে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৫১ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৮ টি নয়া সংক্রমণ হয়েছে। মার্চ মাসে দেশে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৩ টি নয়া সংক্রমণ ছিল। ফেব্রুয়ারিতে কেবল ৩ লাখ ৫০ হাজার ৫৪৮ টি নয়া সংক্রমণ পাওয়া গেছে, যা বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যার সমান। জানুয়ারী মাসে দেশে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪০৯ টি নয়া সংক্রমণে হয়েছে।

এদিকে, দেশের করোনা পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একনাগাড়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণের মোকাবিলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন রাজনৈতিক তরজার সময় নয়, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোই প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। এখন জাতীয় বিপর্যয়, আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। আদালত যখনই মনে করবে, তখনই ওই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে।

আজ (মঙ্গলবার) এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যগুলো কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিস্তারিত জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

এদিকে, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২ মে ফল ঘোষণার দিন কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের কাছে সার্টিফিকেট নিতে যাওয়ার সময়ে, জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে সর্বাধিক ২ জন থাকতে পারবেন। #

Sharing is caring!