‘হরমুজ শান্তি পরিকল্পনা’ ​ইতিবাচকতার দিকে

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ প্রথমে কাতার সফর শেষ করে এরপর ইরাক, ওমান ও কুয়েত সফর করেছেন। ধারাবাহিক এসব সফর এবং ওই দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার এবং এ অঞ্চলে টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাওয়াদ জারিফ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে শুধুমাত্র এ অঞ্চলের দেশগুলোর অংশগ্রহণে বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বিস্তার ও বিরাজমান নানা সংকট সমাধানে ইরান ও কুয়েতের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সংকট সমাধানের জন্য ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি সংলাপ ও সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে ইরান ‘হরমুজ শান্তি পরিকল্পনা’র প্রস্তাব দিয়েছিল এ অঞ্চলের দেশগুলোর কাছে। তেহরান মনে করে অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান বজায় রেখে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ‘হরমুজ শান্তি পরিকল্পনা’ হচ্ছে সর্বোত্তম প্রস্তাব। ইরাকের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হোসেন আল কানানি বলেছেন, ইরানের এই শান্তি প্রস্তাব এ অঞ্চলের ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান বারবার আঞ্চলিক সংলাপের যে কথা বলছে তার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তার ও সমন্বয় সাধন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ ইরাক, কাতার, কুয়েত ও ওমান সফর করে এ বিষয়টিকেই এগিয়ে নেয়ার করেছেন।

এদিকে, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের একই সময়ে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য যে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তা থেকে বোঝা যায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও উত্তেজনা নিরসনের জন্য অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার দরজা খুলে যাবে। এ বিষয়ে কুয়েত সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি হরমুজ শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং তার এ প্রচেষ্টা ইতিবাচকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে

Sharing is caring!