সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি এবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করতে নির্দেশনা এসেছে।
ভ্রমণে বিদেশি মুদ্রার খরচজনিত কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্রুত বিচারিকসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব এড়াতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অবস্থায় অতীব প্রয়োজন ব্যতীত অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিদেশ ভ্রমণের আবেদন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আগের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হওয়ায় দেশে রিজার্ভে টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিলাসদ্রব্যের আমদানি কমাতে চাইছে সরকার। আমদানিনির্ভর কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা। দুই পরাশক্তির এই লড়াইয়ে বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের আদেশ জারি করা হয়।
চার দিন পর রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই পরিস্থিতিতে সরকার জোর দিচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধনে। বিলাসপণ্য আমদানিতেও নিরুৎসাহিত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর প্রকল্পও বেছে বেছে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে যেসব প্রকল্প অতি প্রয়োজনীয়, সেগুলোই কেবল চালিয়ে যাওয়া হবে। যেসব প্রকল্প এখনই না করলেও চলে, সেগুলো বাস্তবায়নে ধীরে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।