খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ৩ পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৫ জনকে আটক করেছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০টি টিয়ারশেল ও শটগানের ১৫০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ শুরু করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করে। এছাড়া পুলিশও লাঠিচার্জ করেছে।
রাতে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার জানান, তাদের মিছিলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালালে তারা পাল্টা ধাওয়া দেয়। ছাত্রদলের হামলায় তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপি নেত্রী রেহানা ঈসাসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০টি টিয়ারশেল ও শটগানের ১৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, খুলনা থানার মোড়, বিএনপি অফিস ও স্টেশন রোডের মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় আশপাশের সকলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।