
হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় এই মামলা হয়ছে বলে জানা গেছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটে সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামাত-শিবির-বিএনপির ও হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তিদের উশৃংখলভাবে জমায়েত শুরু হয়। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবের ষড়যন্ত্র ও নির্দেশনায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন হাজার হেফাজত, জামায়াত, শিবির ও বিএনপির জঙ্গি কর্মীরা সারা দেশে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাখজান মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নায়েবে আমির মাজেদুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জসিম উদ্দিন, টঙ্গীর সহ-সাংগঠনিক মাওলানা মাসুদুল করিম, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী দাওয়া সম্পাদক মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ছাত্র ও যুব সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের ও দফতর সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের টাইলস ভেঙ্গে ফেলে, বিভিন্ন হাদিস, কোরআন শরিফসহ ধর্মীয় পুস্তকে অগ্নিসংযোগ করে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া মামুনুল হকসহ অন্যনা আসামিদের পূর্ব পরিকল্পনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে।
#এমআই