এক কোটি ডোজ করোনা টিকা প্রয়োগে একদিনের গণটিকা কার্যক্রম আরও দুই দিন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধ হচ্ছে না। এমনটা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে টিকার কোনো ঘাটতি নেই। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টিকা মজুদ রয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত ১৯ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে এক কোটি টিকাদান উপলক্ষে আয়োজিত অনির্ধারিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুয়ায়ী আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ৯৫ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। এখনও আমাদের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টিকা আছে। প্রয়োজনে আমরা অন্য দেশকে টিকা দিয়ে সহায়তা করতেও পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ’রাজধানীসহ সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রমের মেয়াদ আরও দুদিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সারাদেশে এক কোটি ডোজ টিকা কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ’টিকা দিতে পারবেন কি না এ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে। অসংখ্য মানুষের আগ্রহের কারণে টিকার মেয়াদ দুই দিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
এক দিনে এক কোটি ডোজ করোনার টিকাদানের কর্মযজ্ঞে সকাল থেকেই রাজধানীর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। টিকাগ্রহণে আগে গুরুত্ব না দিলেও গণটিকা কার্যক্রমের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তারা।
প্রতিটি কেন্দ্রে নারী, পুরুষ এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য রাখা হয় আলাদা লাইন ও বুথ। তারপরও পাওয়া গেছে নানা অভিযোগ। কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র জানান, টিকা না নিলে দেয়া হবে না ট্রেড লাইসেন্স।
মেহেরপুর স্টেডিয়ামে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নীচে নেমে আসায় আর কঠোর বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে না। লকডাউনের চিন্তাও নেই সরকারের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানান হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।