বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচার দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।’
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাসায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা সেখানে আকস্মিক আক্রমণ করে। এই আকস্মিক আক্রমণে বিএনপি নেতার পরিবারের অনেক সদস্যসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৪টায় জিঞ্জিরার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় থানা বিএনপি নেতা মোজাদ্দেদ আলী বাবু, যুবদল নেতা মাসুদ আলম স্বাধীন, বিএনপি নেতা হাজী ঈশা খাঁন, দূর্জয় দে কৃষ্ণ, শাহ নেওয়াজ, মো. মাহফুজ, আসলাম রাশিদা বেগম, নার্গিস বেগম, যুবদল নেতা আশরাফ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল রানাসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।’
বিএনপি মহাসচিব প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের ঘটনা নিঃসন্দেহে কাপুরুষোচিত। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের এই ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ধরনের হামলায় আবারো প্রমাণিত হলো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কতটা নির্মম, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী।’
তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছরে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করতে তারা বিভিন্ন কায়দায় দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে যখন আওয়ামী সরকারের বর্বর শাসনের বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেশের মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা তখন বর্তমান আওয়ামী সরকার দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে আদিম হিংস্রতা শুরু করেছে। জনপদে জনপদে বর্তমান সরকার ভয়াবহ অত্যাচার ও নিপীড়নের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।’
