
গ্রেফতারের শঙ্কায় মিয়ানমারের ছয় এমপি ভারতে প্রবেশ করে দেশটির কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটির এক উপদেষ্টার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তা দেশটিতে মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা এক হাজার ৮০০ জনের মধ্যে তারা রয়েছেন।
তারা ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার আরও ১১ জন মারা যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট প্রাণ হারালেন ৬০৯ জন। সপ্তাহখানেক আগে দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি সেনা-বিরোধী বিক্ষোভে দেশের গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেয়ার পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
সেনা-পুলিশের গুলি বর্ষণের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা যখন মিছিলের জন্য জমায়েত শুরু করছেন, প্রায় ছয়টি ট্রাক ভর্তি সেনা সেখানে হাজির হয়। বিক্ষোভকারীরা গাদাবন্দুক, ছুরি আর বোতল বোমা নিয়ে প্রত্যাঘাত করলে আরও পাঁচ ট্রাক বাহিনী আসে। এর পরেই চলে নির্বিচারে গুলি।
সেনা-বিরোধী সিআরপিএইচ জোটের পক্ষ থেকে দেশের প্রাক্তন এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিজেদের প্রাণ ও অধিকার রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষ প্রত্যাঘাত করবেই।