ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নতুন রেকর্ড লিখল ইংল্যান্ড। অবশ্য তার আগের দুই রেকর্ডের মালিকও ছিল তারাই। এবার তারা ছাড়িয়ে গেলো নিজেদের। ২০১৬ সালের আগস্টে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ৩ উইকেটে ৪৪৪ করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে থ্রি লায়ন্সরা। এরপর ২০১৮ সালের জুনে সেই নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪৮১ রানের রেকর্ড গড়ে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত চারশতাধিক রানের ইনিংস হয়েছে ২১টি। যেখানে সবচেয়ে বেশি ৪০০ রানের ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা এখন পর্যন্ত ৪০০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছে ৬ বার। এর পরেই রয়েছে ইংল্যান্ড ও ভারত। তারা ৪০০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছে ৫ বার করে। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা ২ বার এবং নিউজিল্যান্ড করেছে একবার।
শুক্রবার (১৭ জুন) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতে নেদারল্যান্ডসের অ্যামসটেলভিনের ভিআরএ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯৮ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। যেখানে তিনটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে ইংলিশ ব্যাটাররা। দলের হয়ে ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জস বাটলার সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে লিয়াম লিভিংস্টোন সেঞ্চুরি না পেলেও শেষ দিকে ছোট্ট তাণ্ডব চালিয়ে ২২ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এক ইনিংসেই তিন-তিনটি শতক তুলে নেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বাটলার, মালান ও চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ওপেনার ফিল সল্ট শতক পান। জস বাটলার খুনে মেজাজে ১৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৭০ বলে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন। ৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ৯৩ বলে ১২২ রান করেন ফিল সল্ট। ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ১০৯ বলে ১২৫ রান করেন ডেভিড মালান। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন আরেকটু হলেই ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড নিজের করে নিতেন। ৬ ছক্কাও ৬ চারে ২২ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকার পথে ১৭ বলে অর্ধশতক করেন লিভিংস্টোন। ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি এবি ডি ভিলিয়ার্সের। ১৬ বলে যেটি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেটি ছুঁতে না পারলেও ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েন লিভিংস্টোন।
আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারেই জেসন রয়কে হারিয়ে বসে সফরকারী ইংল্যান্ড। জেসন রয় ১ রান করে শেন স্নেটারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপরই শুরু হয় ইংল্যান্ডের ধ্বংসযজ্ঞ। দ্বিতীয় উইকেটে সল্ট ও মালান মিলে ১৭০ বলে গড়েন ২২২ রানের জুটি। সল্ট ভ্যান বিকের বলে আউট হওয়ার আগে ৯৩ বলে ১২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ১৪ চার এবং ৩ ছয়ে।
তৃতীয় উইকেটে জস বাটলার ও ডেভিড মালান মিলে ৯০ বলে গড়েন ১৮৪ রানের জুটি। ৪৫তম ওভারে ডাচ পেসার পিটার সিলারের পরপর দুই বলে ফেরেন ডেভিড মালান এবং ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান। পঞ্চম উইকেটে বাটলার ও লিভিংস্টোন ৩২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটি গড়েন। বাটলার মাত্র ৭০ বলে ৭ চার এবং ১৪টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৬২ রানে। আর ২২ বলে ৬ চার ৬ ছক্কায় ৬৬ রানের ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন।
নেদারল্যান্ডস বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৮ এর নিচে কেউ রান দেননি। ডাচদের লেগ স্পিনার ফিলিপ বইসেভেইন ১০ ওভারে ১০৮ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। ওয়ানডেতে সবচেয়ে খরচে বোলিংয়ের তালিকায় বইসেভেইনকে চারে তুলেছে ইংল্যান্ড!