এক বছরেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ টি দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার এক বিবৃতে এই তথ্য জানিয়েছে ইউরোপের ২৭ টি দেশের জোট ইইউ-এর নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, জাপান, লেবানন, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও চীনের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের বিবৃতিতে ইউরোপীয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দাফতরিক ও আনুষ্ঠানিক কিছু কাজকর্মের জন্য আরও কয়েকদিন সময়ের প্রয়োজন হবে। তারপর থেকে খুব শিগগিরই এই রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এই তালিকায় যুক্তরাজ্যকে রাখা হয়নি। এর কারণ হিসেবে ইউরোপীয় কাউন্সিল জানিয়েছে, দেশটিতে করোনা সংক্রমণে সাম্প্রতিক উল্লফনের কারণেই এই তালিকায় স্থান হয়নি যুক্তরাজ্যের।
তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে পরবর্তী দুই সপ্তাহ যুক্তরাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইউরোপীয় কাউন্সিল। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে দেশটিকে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস ও স্পেন ইতোমধ্যে করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন- এমন ভ্রমণকারীদের তাদের দেশে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে; এবং যারা এখনও টিকা নেননি, তাদের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ রাখা ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ইউরোপের ২৭ টি দেশেও একই নিয়ম চালু করা হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউরোপীয় কাউন্সিল। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কোনোটি যদি আগত ভ্রমণকারীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বা এই জাতীয় কোনো নিয়ম প্রবর্তন করতে চায়, সেক্ষেত্রে কাউন্সিলের কোনো বাধা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণকারী ও যাত্রীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইউরোপের দেশগুলো। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ইউরোপে বাইরের দেশ থেকে আগত যাত্রী ও ভ্রমণকারী সংখ্যা ছিল ৭০ শতাংশ কম।