শ্রীলঙ্কায় চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে ধর্মঘটে বসেছে দেশটির দুই হাজারের বেশি ট্রেড ইউনিয়ন। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে লোকসানের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউরোপ ও আমেরিকার বন্দরে সময়মতো পৌঁছার জন্য কলম্বো সমুদ্রবন্দরকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের গার্মেন্টসবাহী জাহাজ। তবে সেই বন্দরে আটকে আছে এদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী বেশ কিছু ভেসেল। শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেয়ায় শ্রমিক স্বল্পতার কারণে সেগুলোর কন্টেইনার খালাস করা যাচ্ছে না।
দ্বীপরাষ্ট্রটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী ১০টিরও বেশি জাহাজ কলম্বো সমুদ্রবন্দরে আটকে আছে নতুবা সেই বন্দরের উদ্দেশে আছে।
চলতি সপ্তাহে এদেশের অর্থনৈতিক গণমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে লঙ্কান সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের পোশাকবাহী জাহাজগুলোর ৪০ শতাংশ প্রথমে কলম্বো বন্দরে যায়। সেখানে কন্টেইনারগুলো খালাস করা হয়। পরে সেগুলো মূল জাহাজে (মাদার ভেসেল) তোলা হয়। এভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বন্দরে যায় এদেশের পোশাক।
শ্রীলঙ্কার ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘট ডাকায় দেশটিতে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের পোশাকবাহী জাহাজগুলো থেকে কন্টেইনার খালাস করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ পোশাক তৈরিকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েন (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে বায়ারদের (গার্মেন্ট পণ্য ক্রেতা) ফোরাম এবং পণ্য চালান নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কলম্বোর পরিবর্তে অন্য কোনো রুট ব্যবহার করা যায় কি না-তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চীন বা সিঙ্গাপুরের সমুদ্রবন্দর বিবেচনায় রয়েছে।
কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সংকট শুরু হয়। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলম্বো বন্দরে জাহাজ যেতে বিলম্ব হয়।