ভোজ্য তেল, মসলাসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে আগেই। ঈদ সামনে রেখে এবার বাড়ল মাছ-মাংস ও সবজির দাম। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দামও নতুন করে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বোতলজাত সয়াবিনে তেলের তীব্র সংকট। ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এক লিটারের বোতল; যা সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি।
ঈদের আগের হঠাৎ করে নিত্যপণ্যের দামের এই উল্লম্ফনে দিশেহারা ক্রেতারা। মনিটরিং না হওয়ায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন তারা। তাদের ভাষ্য, গত তিনমাসে প্রতিকেজি গরুর মাংসে দুইশ টাকার বেশি বেড়েছে। অথচ এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সবাই আছে তেল-পেঁয়াজের দাম নিয়ে।
এদিকে দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা দোষ চাপাচ্ছেন একে অপরের কাঁধে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে দাম রাখছেন বেশি। আর এ কারণেই তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে পাইকাররা বলছেন, ঈদযাত্রার কারণে পরিবহন জটিলতায় সরবরাহ কমায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।
শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে সয়াবিন তেল নেই। অনেকে আবার পাঁচ লিটারের বোতল ভেঙে বিক্রি করছেন। তবে তাও সীমিত। অনেকে আবার মজুত করে রেখেছেন ঈদের পর দাম বৃদ্ধির আসায়। বাজারে সয়াবিন তেল না পাওয়া যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। সয়াবিন তেলের খোঁজে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন তারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, মুদি দোকানের বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রির জন্য তেল লুকিয়ে রাখছেন। বোতলের গায়ে লেখা দামের চাইতে বেশি দামে তেল বিক্রি করছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বাজারে মনিটরিং জোরদার করেছি। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সরবরাহে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।