পুঁজিবাজারে ফের দরবেশের ফুঁ!

এক দিনে ৩৪৭টি কোম্পানির দরপতনের বিরল দৃশ্য দেখলেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। ২০১০ সালের মহাধসের পর এমন দৃশ্য দেখা যায়নি সেভাবে।

এমনকি গত বছরের ৪ এপ্রিল লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে যেদিন ১৮২ পয়েন্ট সূচক পড়েছিল, সেদিনও এত বেশি কোম্পানির শেয়ারদর হারায়নি। সেদিন পড়েছিল ২৫১টির দর।

সে সময় ফ্লোর প্রাইসের কারণে অবশ্য ৬৬টি কোম্পানির দর কমার সুযোগ ছিল না। কারণ সেগুলো বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরেই ছিল এসব কোম্পানি।

শেয়ারদর প্রায় প্রতিদিন নতুন বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ কমছে, এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে পারছেন না, আর এ কারণে কম দামে বসিয়ে বিক্রি করা যাচ্ছে না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিন শেষে বেড়েছে কেবল ১৪টি কোম্পানির দর, যা গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর এক দিনে এত কম কোম্পানির দর বাড়েনি। সেদিন লকডাউন আতঙ্কে কেবল সাতটি কোম্পানির দর বেড়েছিল।

বেলা শেষে ১৯টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল। এর মধ্যে দুটির দর আসলে কমার সুযোগ ছিল না। কারণ এর শেয়ারদর ৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিএসইসির দরপতনের ২ শতাংশ নীতিমালার কারণে এর দর আসলে কমা সম্ভব নয়।

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হতে না হতেই বাজার নিম্নমুখী হয়ে যায়। যত বেলা গড়ায়, সূচক কমে তত বেশি। একপর্যায়ে ৮৩ পয়েন্ট কমে যায় লেনদেন শেষের ১৫ মিনিট আগে।

Sharing is caring!