শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনে পুলিশ-ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করায় ভিসি ফরিদউদ্দিন আহমেদ।এরপর শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি হঠাও’ এক দফা আন্দোলন শুরু করে। আর তখনই সরকার মড়িয়া হয়ে ওঠে তাদের পোষ্য ভিসিকে রক্ষায়। পর্দায় হাজির হয় জাফর ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক ও তার অনুগত শিক্ষার্থীরা মিলে মূল আন্দোলনটাকে ছিনতাই করে শেষ করে দেয়। আর আজ তো শিক্ষার্থীরা ভিসিবিরোধী আন্দোলনই স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর ‘ধমকে’ ভিসিবিরোধী সব দেয়াল লিখনও মুছে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয় আমাদের সকল দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে আমরা আমাদের আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করে নিলাম এবং দাবি পূরণের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সিলেট গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তাছাড়া তিনি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। এর একদিনের মাথায় শনিবার দুপুরে উপাচার্য এক বিবৃতিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটার ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ‘ উল্লেখ করে দুঃখপ্রকাশ করেন।
যদিও জাফর ইকবালও আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল সেই আশ্বাস এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। শীক্ষামন্ত্রীও আবার আশ্বাস দিয়ে গেলেন। তবে ভিসি কিন্তু তার ক্ষমতায়ই রয়েছেন। এখন তিনি গেলেও যাবেন বেশ স্বাভাবিক ভাবে। এতে করে জয়টা ভিসি ফরিদউদ্দিনেরই হল।
