ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনা শুরু হবার পর থেকে এই দুই দেশের প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার মিত্র দেশগুলি। ভাবখানা এমন ছিল, সাহস থাকলে রাশিয়া যেন ইউক্রেনে হামলা করে তাহলে দেখে নিবে। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হবার পরিস্থিতি দেখা পুরো উল্টো। নিজদের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ভাবা আমেরিকা ও তার মিত্ররা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে! যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে স্বয়ং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও।
পশ্চিমাদের ধোঁকায় এখন সব হারাতে বসেছে ইউক্রেন। একে একে সব শহর দখল করে নিচ্ছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ান সৈন্যরা পৌঁছে গেছে , কিয়েভের দুয়ারে। আর ইউক্রেনের মানুষ পালাচ্ছে নিজ দেশ ছেড়ে।
তবে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে নিরপেক্ষতা এবং শান্তি চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেই সংলাপে বসা যাবে।
শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোল্যাক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সম্ভব হলে আলোচনা করা উচিত। যদি তারা মস্কোতে আলোচনা করতে চায়, আমরা এতে ভয় পাই না। আমরা আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে কথা বলব।’
এক টেক্সট বার্তায় তিনি বলেন, ‘সংলাপের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। শান্তি স্থাপনে আমাদের অবিরাম প্রচেষ্টার একটি অংশ সংলাপ।’
এদিকে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অস্ত্র জমা দিলেই সংলাপে বসা যাবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শুক্রবার বলেছেন, ‘মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অস্ত্র জমা দিলেই তা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘মস্কো চায় না ‘নব্য-নাৎসিরা’ ইউক্রেন শাসন করুক।
ইউক্রেন বর্তমানে ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ নয়। দেশটি অবশ্য রাশিয়ার বলয়ে থেকে বেরিয়ে এসে এই দুই সংস্থাতেই যোগ দিতে চায়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইউক্রেন পারমাণবিক সক্ষমতা হারাতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করার নির্দেশ দেন এবং শুক্রবার রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়।