র‍্যাংকিং নিয়ে ভাবেন না ঢাবির ভিসি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩’ শীর্ষক ১৪ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়টি এবং পাকিস্তানের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেলেও বাংলাদেশের নেই একটিও।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো এড্রেস করার পূর্বে র‌্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না। কারা কী র‌্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা এখন শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলোর ফল পাওয়া শুরু করলে র‌্যাংকিংয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এর আগে আমরা র‌্যাংকিং নিয়ে ভাবছি না।

কিউএস র‌্যাংকিয়ে সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট অবস্থান ও স্কোর প্রকাশ করা হয়। এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয় না।

আগের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ৮০১-১০০০তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ১০০১-১২০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে দেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

২০১২ সালে কিউএস র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালে তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়। ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।

ছয়টি সূচকে মোট ১০০ নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল্যায়ন করে কিউএস। এর মধ্যে একাডেমিক খ্যাতি ৪০, চাকরির বাজারে সুনাম ১০, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ২০, শিক্ষকদের গবেষণা ২০ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ৫ নম্বর করে ধরা হয়।

২০২৩ সালের কিউএসের তালিকায় টানা ১১ বারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

দ্বিতীয় স্থানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, তৃতীয় স্থানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, চতুর্থ স্থানে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড ও পঞ্চম স্থানে হার্ভাড ইউনিভার্সিটি রয়েছে।

Sharing is caring!