লিখেছেন মোস্তফা ইমরুল কায়েস

অপরাধের ‘মহারাজা’
# ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়নি
# নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী
# শালিসের নামে চাঁদাবাজি
# ডুপ্লেক্স বাড়ি, ঢাকায় দুটি দোকান, সারুলিয়ায় জমি ও বাড়ি
# দুটি বিলাসবহুল বাস, রয়েছে ব্যক্তিগত হায়েস গাড়ি
এইত ১২ বছর আগেও বশির আহাম্মদ মানিকের কিছুই ছিল না। বাবার একটি মুদি দোকানেই তাদের সংসার চলতো। পড়াশুনার সময় কলেজের সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। ছাত্রলীগের ভিপি পদে দাঁড়াতে গিয়ে পোস্টার ছাপানোর টাকাটুকুও ছিল না। অন্যের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পোস্টা ছাপিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি কোটিপতি। চড়েন চার টাকার হায়েজ ব্র্যান্ডের গাড়ীতে। গ্রামে আছে তার ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকায় বাড়ি, জমি ও দোকানও। এছাড়াও করেছেন দুরপাল্লার বিলাসবহুল বাসও। লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ভাগ্য বদলে যেতে থাকে বশির আহাম্মদ মানিকের। আলাউদ্দিনের চেরাগ যেনো হাতে পেয়েছেন তিনি। মাত্র এক যুগেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তবে চেয়ারম্যান হওয়ার পর মানিক দুর্নীতি আর অপরাধের মহারাজা বনে গেছেন। এলাকায় কাউকে গোনারও সময় তার এখন নেই। চলেন নিজের গড়া দাঙ্গা বাহিনী নিয়ে। নিজের ইচ্ছেমত চলেন, যা ইচ্ছে করে বেড়ান পুরো ইউনিয়ন জুড়ে। মৃত ফজল করিমের ছেলে মানিকের ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই মানিক চেয়ারম্যান পদের পাশাপাশি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও আছেন। মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও বিষয়গুলো নাকি রামগঞ্জ থানার ওসির জানা নেই।
এলাকাবাসী ও অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি জোট আমলে তার আয়ের একমাত্র উৎস ছিল তার বাড়ির পাশে আথাকরা বাজারে ছোট একটি মুদি দোকান। এই দোকানের আয় দিয়েই কোনোমতে সংসারের ব্যয় বহন করতেন তিনি। কিন্ত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তাকে আর পিছু তাকাতে হয়নি। এলাকাবাসীরা জানান, যার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। কিন্ত সেই বশির আহমেদ মানিক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য নমিনেশান ছিনিয়ে নেন বলে এই তথ্য ওই এলাকার মানুষের মুখে মুখে এখনো ঘুরে ফিরে

মানিকের যতো লুটপাট: ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন দফতর সূত্রে জানা গেছে, মানিক চেয়ারম্যান গত ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় চার কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নম্বর প্লেট লাগানো বাবদ প্রায় ১৫ লাখ, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৩০ লাখ, এডিপি থেকে প্রাপ্ত ১৫ লাখ, টি,আর,কাবিখা, কাবিটা থেকে ২৫ লাখ, সোলার প্রকল্প থেকে ২৫ লাখ, ট্রেড লাইসেন্স ও ব্রিকফিল্ডসহ ২৫ লাখ, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ, মৃত্যু সনদ থেকে ২০ লাখ, সরকার থেকে প্রদত্ত ১ শতাংশ ৪০ লাখ,এল.জি, এস, পি প্রকল্প থেকে ৭০ লাখ, চল্লিশ দিনের কর্মসূচি থেকে ৪০ লাখ, ডিপটিউবওয়েল প্রকল্প থেকে ১০ লাখ এবং সরকার প্রদত্ত বয়স্ক, বিধাব, প্রতিবন্ধী ও মাতৃকালীন ভাতা, বিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকা কেজি চালের টাকাও আত্মহত্যা করেছেন প্রায় ৫০ লাখের উপরে। এসব খাতে আত্মসাৎকৃত টাকার কোন হিসেব পাননি ইউপি সদস্যরা। ফলে ইউপির ১১ সদস্য সম্প্রতি নোয়াখালী দুদক কার্যালয়ে একটি অভিযোগও করেছেন বলে জানা গেছে। মানিক সেখানকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ায় বিভিন্ন টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রতি বছর স্কুলটিতে অকৃতকার্যদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দিয়ে টাকা নেন।
আরও জানা গেছে, চেয়ারম্যান মানিক গত ৪৪ মাসে ইউপির কোন প্রকল্পের হিসেব দেননি। এত দিনে একটিও মিটিং করেনি ইউপি সদস্যদের নিয়ে। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সরকারি কি কি বরাদ্দ তিনি পেয়েছেন তাও জানাননি কোন ইউপি সদস্যকে। এসব বিষয়ে হিসেব চাইলে চেয়ারম্যান মানিক তাদের নানাভাবে অপদস্ত ও হয়রানি করতে শুরু করেছেন। এখনো ভয়ভীতি ও হুমকি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ইউপির প্রতিটি সদস্য। এর মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য কাউসার আলমকে রাতের বেলা তার লোকজন দিয়ে তুলে নেয় এবং জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় এই মানিক। একই রাতে ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহসিনকে তুলে নেয়ার জন্য লোকজন পাঠান কিন্তু প্রাণে রক্ষা পান মহসিন। এসব অভিযোগ ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, আমার কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী আমি একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি তাকে (চেয়ারম্যান মানিক) কারণ দর্শাণোর নোটিশও দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তার লুটপাটে অতিষ্ট হয়ে ৯ নং ভোলাকোট ইউপির ১১ ইউপি সদস্য নোয়াখালী দুদক কার্যালয় ও স্থানীয় প্রশাসন এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে এসব বিষয় জানিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ইউনিয়নের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা তার লুটপাট ও চুরির এসব অভিযোগ বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছে। তার কাছেও হিসেব চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি কোন হিসেব দিতে পারেননি। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে প্রতিটি মেম্বারের কাছে প্যানেল চেয়ারম্যান করবেন বলে ৪ থেকে ৫ লাখ করে টাকা নিলেও সেই টাকা ফেরত দেননি।
মানিকের যতো সম্পদ:এক সময়ে মুদির দোকান করলেও মানিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে গ্রামে একটি দ্বিতল ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছেন। যা প্রায় পৌণে দুই কোটি টাকা খরচ করে করেছেন। বাড়িটি তৈরির জন্য যতো ইট ব্যবহৃত হয়েছে এসব ইট তিনি স্থানীয় কয়েকটি ইটের ভাটার মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাবদ নিয়েছেন বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছে। এছাড়াও তার ডেমরার সারুলিয়া বাজারে প্রায় ৪ কাঠা জমির উপর তিন তলা দালান ও একই এলাকার আরেকটি ৫ কাঠা জমিতে ১০ তলার বাড়ি নির্মাণ করছেন। নির্মানাধীণ বাড়িটির ৫ তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও গুলিস্তান সুন্দরবন মার্কেটে ও হাজী মার্কেটে তার দুটি দোকান রয়েছে। এই মানিক অন্যের ঘরের টাকা দিয়ে নিজের ভাইকেও ঘর তুলে দিয়েছেন।
ধর্ষণের মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি মানিক: মানিকের হাত থেকে তার বাড়ির গৃহকর্মীও নিস্তার পায়নি। তার বাড়িতে কাজ করতে গেলে এক হত দরিদ্র সুন্দরী তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায় মানিক চেয়ারম্যানের ভাই রিপনও ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যোক্ত করতে থাকে। সুবিধা করতে না পেরে মানিক চেয়ারম্যান ও তার ভাই ওই তরুণীকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে ওই তরুণী রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে যান এবং মামলার জন্য অভিযোগও করেন। ওই তরুণীকে ধর্ষণের বিষয়টি মেডিকেল পরীক্ষাতেও প্রমাণিত হয়েছে। এসব প্রমাণাদী নিয়ে ওই তরুণী রামগঞ্জ থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সে আদালতে মামলা করে। বর্তমানে সেই মামলা লক্ষীপুর সিআইডির একজন এএসপি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। তবে মামলা করার পর বেশ বিপাকে পড়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। এখন তিনি এলাকায় থাকতে পারেন। তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মানিক ও তার লোকজন। বাধ্য হয়ে তিনি পালিয়ে দূরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, আমিতো চেয়ারম্যানের ভয়ে এলাকা ছাড়া। এলাকায় যেতেও পারি না। আদালতে মামলা করলাম কিন্তু মানিক চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারও করা হলো না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এছাড়াও এক ছাত্রী অকৃতকার্য হলে তার মা কাছে বিষয়টি জানাতে মানিক কাছে গেলে ছাত্রীর মাকে ধর্ষণ করেন। যা এখনো ওই এলাকার সবার মুখে মুখে।
এলাকার ত্রাস মানিক: মানিক তার এলাকায় একটি ত্রাসের নাম। চেয়ারম্যান হওয়ার থেকে তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। কেউ তার বিুদ্ধে টু শব্দ বা প্রতিবাদ করলেই তিনি তার আপন ছোট ভাই এলজি নাছিরকে দিয়ে সেই পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন এবং অপদস্ত করেন। এসব কারণে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয় না। এমনকি থানায় অভিযোগও করেন না। এই এলজি নাছিরের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মাদক, নারী ধর্ষণসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মানিক চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই এলাকার এক ইউপি সদস্যকে তার লোকজনের মাধ্যমে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিলেন এলাকাবাসী জানিয়েছে। যা ওই সময়ের পত্রপত্রিকাগুলোতে আলোচনায় ছিল। কিন্তু এখনো বীরদাপটেরই ঘুরে বেড়ান মানিক ও ওই হামলাকারীরা। এছাড়াও ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার হাফানিয়া গ্রামের বাড়ি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বাবুকে অপহরণ করেছিলেন মানিকের লোকজন। এরপর ৪ ঘণ্টা পর স্থাানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পরবর্তীতে একটি মামলাও হয়েছিল কিন্তু মানিক গ্রেফতার হয়নি। প্রতিবাদকারীদের শায়েস্তা করতে মানিকের বিশাল মোটরসাইকেল বাহিনীও রয়েছে। কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই তাকে রাতারাতি তুলে আনেন মানিক। নির্মম নির্যাতন চালিয়ে নিজেই বিচার শালিস করেন। তেমনি একজন ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন। তার মুদির দোকানে মানিক বিভিন্ন সময়ে প্রায় তিন লাখ টাকার মত খরচ করেন। কিন্তু এই টাকা চাইতে গেলে তার উপর অত্যাচার নেমে আসে। তার বাহিনী দিয়ে দোকানের মালামাল লুট করেন এবং তার উপর হামলা করে হত্যারও চেষ্টা করে মানিক চেয়ারম্যান। শুধু এখানেই শেষ নয়, নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব মোটরসাইকেল ক্যাডার বাহিনী। এছাড়াও গ্রামের মানুষদের বিভিন্ন বিপদের সমাধান করিয়ে দেয়া ও চাকরিও নামেও বিভিন্নজনের কাছ থেকে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
শালিস ও সুপারিশের নামে চাঁদাবাজি: ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, বশির আহাম্মদ মানিক চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকায় শালিসের নামে শুরু করেছেন চাঁদাবাজি। যে কোনো সমস্যার শালিস করতে গেলেই সমস্যার ধরণ বুঝে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত জমা দিতে হয় তার কাছে। এই টাকা তিনি দফাদার বা মহল্লাদারের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন। কিন্তু শালিস বৈঠকের পর বাদী কিংবা বিবাদী কেউই সেই টাকা আর ফেরত পান না। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভুগছেন এলাকাবাসী। তাদের একটাই কথা-মানিকের হাত থেকে রেহাই চান তারা। মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একের পর চাঁদাবাজি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। শুধু রাজনৈতিক বিরোধী দল নয়, নিজের দল আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও রেহাই পাননি তার চাঁদাবাজির থাবা থেকে।
মাদকের ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ:মানিক মুলত একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। ওই এলাকার রিপন নামের এক যুবককে দিয়ে মানিক বিভিন্ন সময়ে তার ভাগিনা মনজুর কাছ থেকে ইয়াবার টাকা লেনদেন করতেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই যুবক অনুতপ্ত হয়ে থানার রামগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি জানানোর পর আদালতেও বিষয়টি জানান। এরপরও পুলিশ মানিককে আটক বা গ্রেফতার করেনি। সেই রিপন এখন চেয়ারম্যান মানিকের ভয়ে পলাতক জীবনযাপন করছেন। রিপন বলেন, আমি বাড়িতে যাইতে পারি না। পলায় পলায় আছি। আমার জীবন এখন হুমকির মুখে। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই। মানিকের ইয়াবা সেবনে সংক্রান্ত গত বছর এক অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে গভীর রাতে চেয়ারম্যান এক নারীকে ফোনে কল করে ইয়াবা খেতে ডাকছিলেন শানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, এখন ওই এলাকায় মানিকের হাত ধরেই মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। উঠতি যুবকরা এখন মাদকে আক্রান্ত হচ্ছেন। মানিকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও বিষয়গুলোকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, একজনের দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিল। আর ধর্ষণের মামলার বিষয়টি আদালতের বিষয়। তবে কোন নারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তার থানায় যাননি বলে দাবি করেন ওসি আনোয়ার। ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বশির আহাম্মদ মানিকের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি সময়ের আলোকে বলেন, এসব মিথ্যা কথা ও বানোয়াট। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এসব বলছে আমি ৯ বছর ঠিকাদারী করে এসব সম্পদ করেছি। আমার ঢাকায় দুটি দোকান, বাড়ি, জমি আছে সত্য। বাসও চলে।