বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কি লেখা হবে তাও ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা করছে ঢাকার রাশিয়ার দূতাবাস। আর সরকারকে তো প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ইস্যুতে চাপে রেখেছে। রাশার কাছে অসহায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘উদ্ধারে’ ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড ।
যদিও ন্যুল্যান্ডের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দল তাদের স্বার্থ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে শ্রীলংকাতে যাবে প্রতিনিধি দলটি। চাপে থাকা আমেরিকা চাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শোক্ত অবস্থান তৈরি করতে। আর বাংলাদেশ এই সুযোগে জিএসপি চালু ও র্যাবের উপর মার্কি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আবদার করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও অতীত বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু তাদের স্বার্থই দেখে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদারদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতার ওপর জোর দিতে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।
সফরে প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতিবিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি আমান্ডা ডরি থাকছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, আন্ডার সেক্রেটারি ন্যুল্যান্ড বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় অংশীদারত্ব সংলাপে অংশ নেবেন। আর নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সফরে আন্ডার সেক্রেটারি ও তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধি দল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করতে এবং সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের উপর ন্যুল্যান্ডের সফরকে কেন্দ্র করে বাড়তি নজর রাখছে রাশিয়া। একটু এদিক সেদিক হলেই চাপে ফেলে দিবে। অন্যদিকে আমেরিকার কথা না শুনলে নিষেধাজ্ঞা বাড়ারও শঙ্কা রয়েছে। হাসিনা সরকার যেন, ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ অবস্থায়।