ঝালকাঠিতে ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া ভিজিএফ’র ৯ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার পর পুলিশের সহায়তায় তা উদ্ধার করল এলাকাবাসী।
শনিবার রাতে সদর উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চৌকিদার আয়নাল হকের বাড়ি থেকে এ সরকারি চাল উদ্ধার হলেও কীভাবে এ চাল বিক্রি করা হলো তা জানেন না চেয়ারম্যান এ কে এম আব্দুল হক।
উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে মোট ২৩৬৬ জন দরিদ্র মানুষকে বিতরণের জন্য ২৩ টন ৬৪০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। শনিবার ১৯৫০ জনকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চাল থেকে এক টন পরিমাণ গোপনে বিক্রি করা দেওয়া হয় স্থানীয় চৌকিদার আয়নাল হক ও ধান-চাল ব্যবসায়ী ইউসুফ হাওলাদারের কাছে।
বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাদের বাড়ি গিয়ে রাতে ওই চাল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে।
অভিযুক্ত চৌকিদার আয়নাল হক ও ধান-চাল ব্যবসায়ী ইউসুফ হাওলাদার সরকারি চাল কেনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের একটি চক্র এ চাল তাদের কাছে বিক্রি করেছে ।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার করা চালগুলো স্থানীয় চৌকিদার দুলাল হাওলাদারের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন।
ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আব্দুল হক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চাবি থাকে সচিবের কাছে। চাল বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার হওয়া চালগুলো জব্দ করে স্থানীয় এক চৌকিদারের জিম্মায় রেখেছি। তবে সচিব জানিয়েছেন চালগুলো তাদের পরিষদের না। কিন্তু ৯ বস্তা সরকারি চাল এক বাড়িতে তো থাকার কথা না। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।