ভেসে এলো মৃত আড়াই টন তিমি

আড়াই টন একটি তিমির সন্ধ্যা মিলেছে। তবে জীবিত নয়, মৃত। বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসে সেটি। ৯ এপ্রিল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে সেটির দেখা মেলে। তিমি মাছটি দরিয়ানগর এলাকার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে। এটি দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। তারা মৃত তিমি মাছটিকে তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে কোন এক সময় তিমিটি ভেসে আসে। কিন্তু লকডাউনের কারণে তীরে তেমন লোক যায়নি। পরে দুপুরের দিকে কয়েকজন সেটি দেখতে পান এবং স্থানীয়দের খবর দেন। পরে অনেকে ছুটে যান। এ খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকেরাও সেখানে ছুটে যান।

কক্সবাজার সমুদ্রসম্পদ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, দুটি কারণে তিমি মাছ মারা যায়। প্রথমত, বয়সকাল পার হলে তিমি আত্মহত্যা করে থাকে। দ্বিতীয়ত, বঙ্গোপসাগরে যেসব জাহাজ চলাচল করে, এতে আঘাতের কারণে তিমিটি মারা যেতে পারে। তিমিটি আনুমানিক আড়াই টনের মতো ওজন হবে। তিনি আরও বলেন, এর আগে ১৯৯১ সালে এ রকম একটি তিমি ভেসে এসেছিল সৈকতে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেল, ওই তিমি আত্মহত্যা করেছিল।

পরিবেশকর্মী বা মৎস্য অধিদফতরের কাউকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি মৃত তিমির কাছে। তবে জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা বলেন, এসব তিমি যৌবনকাল অতিবাহিত করেই আত্মহত্যা করে থাকে।

Sharing is caring!