
রাজধানীর অদূরে সাভারে গড়ে ওঠা ঢাকা বোট ক্লাব এখন আলোচনার অন্যতম খোরাক। তবে এটি আলোচনায় আসতো না যদি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ না উঠতো। চলুন জেনে আসা যাক, ঢাকা বোট ক্লাব কি এবং কেন এই নামকরণ করা হলো।
জানা গেছে, ক্লাবটি নদীর জমি দখল করে নদীর মাঝে করায় করায় এর নাম দেওয়া হয়েছে বোট ক্লাব। সামনে যুক্ত করা হয়েছে ঢাকা। আর এটির প্রতিষ্ঠাতা হলো পারটেক্স গ্রুপের মালিক হাসেম। মুলত তারই ইন্ধনে সেটি করা হয়েছে। তার দখলেই সব চলে।
এই ক্লাবের সদস্য পদ পেতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১৮ লাখ টাকা। সেইসঙ্গে শর্ত জুড়ে দেয়া আছে উচুঁ পদমর্যাদায় অধিকারী হবার। কাঁটাতারের বেড়া, অসংখ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামরাসহ প্রবেশে থাকতে হবে বিশেষ কোড। অভিজাত এ ক্লাবটি হঠাৎ করেই দেশবাসীর আলোচনার কেন্দবিন্দুতে। ১০ জুন রাতে এ ক্লাবটির ভেতরে কী ঘটেছিল অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে? জানতে তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
দূর থেকে চোখে পড়ে কালো রংয়ের বিশাল ৩ তলা ভবনটি। যার নাম ঢাকা বোট ক্লাব। জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী পরীমনি তার ওপর হওয়া ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এই ক্লাবটির কথাই।
সোমবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই ক্লাবটিকে ঘিরে তৈরি হয় নানা জল্পনা কল্পনা। এদিন ক্লাবের প্রাঙ্গনজুড়ে নিরাপত্তা প্রহরীদের নজিরবিহীন টহল। প্রবেশ নিষেধ ছিল সংবাদমাধ্যমেরও। ১০ জুন রাতে পরীমনির সাথে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে জানাতে নারাজ ক্লাবটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি বড় স্যাররাই জানেন সব।
অভিজাত ক্লাবটিতে প্রায়ইশ সদস্যদের কেউ কেউ মদ্যপ হয়ে অন্যদের বিরক্ত করার ঘটনা ঘটতো বলে জানান ক্লাবটিরই একজন এক্সিকিউটিভ সদস্য। আর এমনটা খুবই সামান্য ঘটনা বলেও দাবি এই ক্লাব সদস্যের।
এদিকে, স্থানীয়দের দাবি ক্লাবটিতে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পার্টি। যেখানে নারীদের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি।
তুরাগে নদীর কিছু অংশ জুড়ে ক্লাবটি নির্মাণ হয়েছিল বলে কয়েক বছর আগে সেখানে উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হয়েছিল বিআইডব্লিউটিএকে।
অভিনেত্রী পরীমনির ঘটনা তদন্তে ক্লাবটিতে ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন পুলিশ, এসবি ও র্যাব কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ক্লাবটির কর্মচারীদের। ঘটনার দিনের সিসি টিভি ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে
এদিকে, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সোমবার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমনি। সেই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয় উত্তরার এই বাড়িটিতে অবস্থান করছেন প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ। বাড়িটির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অমিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিন নারীকে। জব্দ করা হয় দেশি-বিদেশ মদসহ মাদকদ্রব্য।
পুলিশ বলছে, এই বাসায় প্রতিদিন ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন নাসির। উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করানো হতো। বাড়িটিতে যাতায়াত ছিল অনেকের।
গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানকালে নাসিরের বাসা থেকে বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। তার বাসায় উঠতি বয়সী নারীরা এসে মদপান করতেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তার বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন ছিল বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রধান আসামি নাসির উদ্দিনসহ গ্রেপ্তারকৃতদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাব। ১০ জুন রাতে ক্লাবটিতে কী হয়েছিল অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে? হঠাৎ করেই যেন দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্লাবটি। অসংখ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আর গোপনীয়তায় মোড়া ক্লাবটির কার্যক্রম জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারাও।
জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী পরীমনি তার ওপর হওয়া ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনাস্থল হিসেবে ঢাকা বোট ক্লাবের কথা জানানোর পর থেকেই দেশজুড়ে কৌতূহল আর আলোচনা ক্লাবটিকে ঘিরে।
সোমবার (১৪ জুন) সকাল থেকে ঢাকা বোট ক্লাবটি জুড়ে কড়া নজরদারি রেখেছিলেন সেখানকার নিরাপত্তা প্রহরীরা। প্রবেশ নিষেধ ছিল সংবাদমাধ্যমেরও। ১০ জুন রাতে পরীমনির সঙ্গে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে জানাতে নারাজ ক্লাবটির কর্মচারীরা, শুধু জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই নাকি সব জানেন।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ক্লাবটিতে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি চলতো। বেশি আনাগোনা ছিল নারীদের।
তুরাগ নদীর কিছু অংশ জুড়ে ক্লাবটি নির্মাণ হয়েছিে। কয়েক বছর আগে সেখানে বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান করেছিল বলেও সময় সংবাদকে জানান স্থানীয়রা।
অভিনেত্রী পরীমনির ঘটনা তদন্তে ক্লাবটিতে পুলিশ, এসবি ও র্যাব কর্মকর্তারা সেখানকার কর্মচারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘটনার দিন কী হয়েছিল তা জানতে সিসি টিভি ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করেন।